“Specified Skilled Worker (SSW)”
জব ভিসায় আবেদন করার আগে অবশ্যই কিছু তথ্য জেনে নেইঃ
এপ্রিল, ২০১৯ সালে জাপান নির্দিষ্ট শিল্প ক্ষেত্রে কাজ করতে নির্দিষ্ট দক্ষ শ্রমিক (“Specified Skilled Worker (SSW))” নামে একটি নতুন রেসিডেন্স স্ট্যাটাস প্রতিষ্ঠা করেছে।
জাপানে কোন কোন সেক্টরের কাজে যেতে পারবেন?
SSW জব ভিসার ১৬ টি সেক্টরের মধ্যে ৪টি সেক্টর বর্তমানে বাংলাদেশে চালু রয়েছে।
১. এগ্রিকালচার সেক্টর(কৃষিখাত), ২. নার্সিং/কেয়ার গিভার সেক্টর ৩. কন্সট্রাকশন (নির্মাণ শিল্প) ৪. অটোমোবাইল ট্রান্সপোর্ট ফিল্ড
অন্যান্য সেক্টরগুলো খুব দ্রুত চালু হওয়ার জন্য সরকারী ও বেসরকারিভাবে উদ্দ্যেগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আমরা প্রায় ১০০ এর অধিক কোম্পানিতে 8 সেক্টরে কর্মী প্রেরণ করে থাকি।
আরও বিস্তারিত জানতে ফর্মটি পূরণ করতে পারেন এই লিঙ্কেঃ https://forms.gle/heoAgWgocYH8AMY36
SSW জব ক্যাটেগরিতে যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জাপানিজ ভাষা কোন লেভেল থাকতে হবে?
- কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা বা সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। ভাষা শিখতে পারলে শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার নেই।
- বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত জাপানিজ ভাষার নৈব্যত্তিক পরিক্ষায় JLPT N4/JFT A2 পাশ করতে হবে।
- আপনি যে সেক্টরে কাজের জন্য যাবেন সেই সেক্টরের উপর একটি বাংলা বই পরে নৈব্যত্তিক পরিক্ষায় পাশ করতে হয়। পরীক্ষাটি কোন কঠিন নয় একজন অলস ছাত্র/ছাত্রী চাইলে ২ সপ্তাহ পড়লে নিশ্চিত পাশ করতে পারবে।
জাপানে SSW জব ভিসা ক্যাটেগরিতে যাওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়াঃ
- (৪) মাস মেয়াদী জাপানিজ ভাষা কোর্সে ভতি হবে।
- পূর্বে কাজের কোন দক্ষতার প্রয়োজন নেই বা কোন প্রাক্টিক্যাল/শারীরিক পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়না তবে জাপানিজ কোম্পানিগুলোর স্ক্যাইপি বা সরাসরি ইন্টার্ভিউয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। ইন্টারভিউয়ের জন্য স্পিকিং লেভেল অবশ্যই ভালো হতে হবে এবং আমাদের গাইডলাইন ফলো করলে সহজেই উত্তীর্ণ হতে পারবেন।
- ভাইভাতে পাশ করলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কোম্পানিতে পাঠাতে হবে। কোম্পানির ল’ইয়ার বা এইচ আর ডকুমেন্ট যাচাই বাচাই করে ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারের নিকট দাখিল করবেন।
- ইমিগ্রেশন থেকে আনুমানিক ৩ মাসের মধ্যে প্রি-ভিসা/ রেসিডেন্ট পারমিট ইস্যু করবে।
- প্রি-ভিসা ও কোম্পানির অন্যান্য কাগজপত্র হাতে পেলে গুলশান-২ VFS সেন্টার থেকে আপয়নমেন্ট নিয়ে ডকুমেন্ট জমা দিয়ে আসতে হবে।
- জাপান দুতাবাসের নিয়ম অনুসারে ভিসা হাতে পেলে নির্ধারিত তারিখে বিমানের টিকেট ক্রয় করে জাপানের উদ্দেশ্যে গমন নিশ্চিত করতে হবে।
জাপানে যাওয়ার পরবর্তী ধাপসমূহঃ
- জাপানের এয়ারপোর্টে কোম্পানি বা আমাদের প্রতিনিধি পিক-আপ ব্যবস্থা করবে।
- কোম্পানি বা আমাদের প্রতিনিধি হতে বাসস্থান, ব্যাংক একাউন্ট খোলা, স্বাস্থ্য বীমা, সিটি অফিসের কাজের সহযোগিতা করবে।
- ৭ দিনের মধ্যেই কোম্পানি কর্মস্থল পরিদর্শন করিয়ে কাজের ড্রেস ও নিয়ম কানুন সম্পর্কে অবগত করবে।
কত টাকা খরচ হবে এই ভিসা ক্যাটেগরির জন্যঃ
আসলে টোটাল খরচ কোম্পানি টু কোম্পানির উপর নির্ভর করে। জাপানের কোম্পানির ডিম্যান্ড অনুসারে লেনদেন হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে সরাসরি অফিসে এসে কথা বললে আনুমানিক আপনাকে ধারনা দিতে সক্ষম হবো। তবে সেটা আপনার হাতের নাগালের ভিতরেই। যেকোনো আয়ের পরিবার থেকে সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে পারবে।
কেন জাপানে এই ক্যাটেগরির জব ভিসায় যাবেন?
- পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানের এই জব ভিসা ক্যাটেগরিগুলোতে ৯৫% ভিসা ইস্যু হয়ে থাকে।
- ৫-৭ বছরের মধ্যে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি পাওয়ার সুযোগ।
- কোন কারণে জব না থাকলে বা চাকুরিচ্যুত হলে সরকার বা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি স্যালারির সম পরিমাণ অর্থ প্রদান করে।
- ৫-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ অনেকাংশে সরকার বহন করে এবং ২/৩ সন্তান হলে প্রণোদনা দিয়ে থাকে।
- জাপান থেকে সহজেই একজন বাংলাদেশী যেকোনো দেশে ভিজিট করতে পারে।
- জাপানে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশী ও জাপানিজ নাগরিকদের জন্য সকল আইন ও সুযোগ সুবিধা সমান।
- সঠিকভাবে ইনকাম ট্যাক্স, ইনস্যুরেন্স প্রদান করলে স্বপরিবারে পৃথিবীর ১ নং শক্তিশালি পাসপোর্ট যায়।
- ৬০ বছর পরে সকল বাংলাদেশী ও জাপানিজ নাগরিকরা প্রতিমাসে মোটা অংকের ওয়েলফেয়ার সুবিধা পায়।
- জাপান সরকারের শ্রমমন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুসারে কোম্পানির একজন নতুন কর্মী প্রতি মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা বেতন পাওয়ার সুযোগ।
- প্রতিটি কোম্পানি থেকে ওভারটাইম, বোনাস, স্বাস্থ্য ভাতা, যাতায়াত ভাড়া, বাসস্থানের ব্যবস্থা দিয়ে থাকে।
- ৩ বছর পরেই আপনার বিবাহিত স্ত্রী ও সন্তানদেরকে ডিপেন্ডেন্ট ভিসা ক্যাটেগরিতে জাপানে নিতে পারবেন।
সেজন্য ভিসা প্রসেসিং এর জন্য কোন টাকা খরচ করতে হবেনা। আপনার স্ত্রী সেখানে জাপান সরকারের নিয়ম অনুসারে প্রতিমাসে প্রায় ১২০ ঘণ্টা কাজ করে প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি আপনার স্ত্রীর গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা থাকে তাহলে উনিও আপনার সমপরিমাণ বেতনের পার্মানেন্ট জব করতে পারবেন।
এই জব ক্যাটেগরির জন্য আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
- আপনার সকল একাডেমিক মূল সনদপত্র ও মার্কশিট ( যদি থাকে )
- পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট ( যদি থাকে )
- সফট কপি ছবি -১ কপি কালার (৩৫/৪৫ মি.মি)।
- জাপানিজ ল্যাংগুয়েজ পাশকৃত সার্টিফিকেট
- ওরিজিনাল পাসপোর্ট ( মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে)
আরও বিস্তারিত জানতে ফর্মটি পূরণ করতে পারেন এই লিঙ্কেঃ https://forms.gle/heoAgWgocYH8AMY36
কিছু কমন প্রশ্ন সমুহঃ
১. বয়স সর্বোচ্চ কত পর্যন্ত আবেদন করা যায়?
১৮ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত আবেদন করা যায়।
২. বিএ বা পাস কোর্স ৩ বছরের কমপ্লিট করেছি আমি কি যেতে পারবো?
জি যেতে পারবেন। সর্বনিম্ন এস এস সি পাশ করেও আবেদন করতে পারবেন।
৩. আমার কোন কাজের অভিজ্ঞতা নেই আমি কি যেতে পারবো?
জি যেতে পারবেন। অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো না থাকলেও সমস্যা নাই। আমাদের দেশের কাজের সাথে তাদের দেশের কাজের ৮০% কোন মিল নাই, জাপানিজ কোম্পানি আপনাকে প্রথম ৩ মাস মনে প্রানে কাজ শিখাবে তাই পূর্বের অভিজ্ঞতা না থাকলেও হবে।
৪. এমব্যাসিতে কোন ভাইভার সম্মুখীন হতে হবে কিনা?
৩ ই নভেম্বর ২০২৪ সাল থেকে জাপান এমব্যাসি কোন প্রকার ইন্টার্ভিউ ছাড়াই VFS এর মাধ্যমে শুধু প্রদানকৃত ডকুমেন্টের উপর ভিত্তি করে ভিসা ইস্যু করছে।
এমনকি জাপানে যাওয়ার জন্য কোন প্রকার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মেডিকেল চেকাপ ও এম্বাসির ভিসা ফিস ও এপয়নমেন্ট ফি’র প্রয়োজন পরেনা।
৫. এই ভিসা ক্যাটেগরিতে কত বছরের ভিসা দিয়ে থাকে এবং সেখানে ভিসা রিনিউ করা যাবে কিনা?
এই ভিসা ক্যাটেগরিতে ৯৯% এপ্লিকেন্টকে প্রথমে বাংলাদেশ থেকে ১ বছরের ভিসা দিয়ে থাকে। অনেক সময় ৩ থেকে ৫ বছরের ভিসা পাওয়া যায়। ১ বছর পেলেও আফসোস করার কিছুই নাই, কারণ জাপানে যাওয়ার পর কোম্পানি সঠিক থাকলে রিনিউ করতে করতে কোন টাকা লাগেনা। ১ বছর শেষ হলে ১-৫ বছর পর্যন্ত এভাবেই ভিসা পেতে থাকবেন।
৬. আপনাদের রিক্রটিং লাইসেন্স আছে কিনা?
আমাদের বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত রিক্রটিং লাইসেন্স নংঃ ৯২৬, আল-জান্নাত অভারসীজ লিমিটেড। একনজর দেখে আসতে পারেনঃ https://baira.org.bd/dir/agency-information/926?page=5
জাপানে কর্মী পাঠানোর অনুমোদিত তালিকায় আমাদের লাইসেন্স দেখুন এই লিঙ্কেঃ https://www.otit.go.jp/soushutsu_kikan_list/
৭. আপনাদের সাকসেস রেশিও কেমন?
আমরা গত ১০ বছরে প্রায় হাজারের মত শিক্ষার্থী, দক্ষ কর্মী, ইন্টার্নশীপ, ও ইঞ্জিনিয়ার জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেছি।
তার কিছু অংশ আমাদের ইউটিউব চ্যানেলেও দেখতে পাবেন.. https://www.youtube.com/@REIWA_JAPAN_2016/videos
৮. এই ভিসা ক্যাটেগরিতে ভিসা রেশিও কেমন?
এখন পর্যন্ত এই ভিসা ক্যাটেগরিতে ৯৫% ভিসা সাকসেস রেশিও।
এই বছর আমরা শতভাগ সফলতা অর্জন করেছি।
৯. এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কি মেয়েরা যেতে পারে?
জি অবশ্যই যেতে পারবে। আমরা অনেক মেয়ে কর্মী প্রেরণ করেছি জাপানের বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে। তারা একনিষ্ঠ ও সৎ হওয়ায় উচ্চ বেতনের কোম্পানিগুলো তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে মুখিয়ে থাকে।
১০. পূর্বে জাপানে অন্যকোনো ক্যাটেগরিতে বা একই ক্যাটাগরিতে ভিসা রিজেক্ট হয়ে থাকলে তাহলে কি আবার আবেদন করা যাবে কিনা?
জি আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি পূর্বে স্টুডেন্ট/ জব ভিসায় আবেদন করে থাকেন প্রি ভিসা/ এমব্যাসি রিজেক্ট হয়ে থাকেন আপনি আবার জব ভিসা ক্যাটেগরিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে পূর্বের আবেদনের সকল তথ্য এপ্লিকেশনের সময় দাখিল করতে হয়। পূর্বের তথ্য মিল না রেখে আবেদন করলে অনেক সময় প্রি ভিসা ইস্যু নাও হতে পারে।
১১. অনেক এজেন্সি অনেকভাবে মানুষকে প্রতারিত করে থাকে, আপনারা যে করবেন না তার গ্যারান্টি কি?
আমরা বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান এমব্যাসি থেকে এনলিস্টমেন্ট একটা জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার এবং ASSOCIATION OF JAPANESE LANGUAGE INSTITUTE IN BANGLADESH (AJLIB) এর মেম্বার। লিংকে দেখুনঃ https://ajlibbd.com/member/details/20
আমাদের প্রতিষ্ঠান জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET) থেকে ভেরিফিকেশন করা এমনকি সরকারের তদন্ত সংস্থা থেকে তদারকি করা হয়। কোন প্রকার প্রতারণা করলে সরকারের পক্ষ থেকে বিশাল অংকের জরিমানা ও লাইসেন্স বাতিল বলে গন্য হবে।
আমাদের কাছ থেকে যেকোনো সার্ভিস নিলে আমরা এগ্রিমেন্টে সকল কিছু পুংখানুভাবে উল্লেখ করে কাজ শুরু করে থাকি। কথা ও কাজের অমিল হলে আমাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
১২. আপনারা কি AtoZ প্যাকেজে কাজ করেন বা ভিসার পর সকল পেমেন্ট করতে চাই এমন কোন পেমেন্ট সিস্টেম আপনাদের আছে কি?
জাপানের ভিসা প্রসেসিং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত না, এই জব ভিসা ক্যাটেগরিতে প্রতিটি ধাপে পেমেন্ট করতে হয় তাই আমরা কোন AtoZ প্যাকেজ বা ভিসার পর সকল পেমেন্ট এমন প্রক্রিয়ায় কাজ করিনা।
১৩. অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আপনাদের কাছে এখন কোন কোন কোম্পানি আছে? ভাইভাতে ১ মাসের মধ্যে ভাইভাতে বসাতে পারবেন কি?
আমরা আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে ১ মাসের মধ্যে ভাইভাতে বসাতে পারবোনা। আমরা এগ্রিমেন্ট অনুসারে আপনার কাছ থেকে সময় নিয়ে থাকি। সেই সময়ের মধ্যে আপনাকে জাপানে পাঠাতে পারলে আমাদের রিজিকের ফায়দা হয়।
কোম্পানি সিলেকশন হওয়া আসলে আপনার উপরই নির্ভর করবে। আমরা প্রতিমাসে ২/৩ টা ইন্টার্ভিউ নিয়ে থাকি কোন না কোন কোম্পানির। আপনি যদি প্রথম কোম্পানির ভাইভায় উত্তীর্ণ না হয়ে থাকেন তাহলে আবার অন্য কোম্পানি খুঁজতে সময় যায়। আবার তাদের সময় অনুসারে ভাইভার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সেক্ষেত্রে উত্তম হয় যদি আপনি আমাদের সাথে নিয়মানুসারে নিজেকে প্রস্তুত করেন।
আমাদের জাপানের অফিস থেকে সরাসরি জাপানিজরা অনলাইনে টানা ১৫ দিন ভাইভা প্রাকটিস করিয়ে প্রতি ২ সপ্তাহে কয়েকটা কোম্পানিতে ভাইভা নেয়া হয়। একজনের জাপানিজ ব্যসিক জানা থাকলে মাত্র ২ মাসেই এপ্লিকেন্টকে কোম্পানি সিলেকশন করাতে সক্ষম হই।
আমরা চাই যে, আপনাকে দ্রুত কোম্পানি সিলেকশন করে জাপানে পাঠাতে পারলেই আমরা ২ টাকার মুখ দেখতে পারি কিন্তু সেই সাথে আপনার সদিচ্ছা ও দৃঢ় মন মানসিকতা থাকতে হবে। অনেকেই ফাইল আর টাকা দিয়ে উধাও হয়ে যায় ৩ মাস পর এসে বলে স্যার আপনারা আমার জন্য কিছুই করতে পারলেন না।
যেহেতু আমাদের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সকলেই যাচ্ছে আপনিও যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ, সেজন্য সময় দিবেন ও ধৈর্য নিয়ে জাপানিজটা প্রাকটিস করে যাবেন এটাই আমাদের চাওয়া আপনার কাছ থেকে।
১৪. এই ভিসা ক্যাটেগরিতে যেতে চাইলে পূর্বে কোন কাজের অভিজ্ঞতা বা কোন কাজের ট্রেনিং করা লাগবে কিনা?
দক্ষ মানুষের চাহিদা সব কোম্পানিতেই প্রয়োজন থাকে, তবে পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতার না থাকলেও সমস্যা নেই বা বিশেষ কোন সেক্টরের ট্রেনিং ও করা লাগবেনা। জাপানিজরা নতুনদের প্রায় ৩-৬ মাস পর্যন্ত কাজ শিখিয়ে দিয়ে থাকে।
১৫. আমি তো ঢাকার বাহিরে থাকি আমি কি অনলাইনে আপনাদের কাছ থেকে ভাষা শিখে এই ভিসা ক্যাটেগরিতে আবেদন করতে পারবো কিনা?
অবশ্যই পারবেন, আমরা অনলাইনে ভাষার কোর্স করে থাকি, আপনি চাইলে ৪ মাসের অনলাইন কোর্স সম্পন্ন করে আবেদন করতে পারেন। স্পিকিং লেভেল ভালো হলে আমরাই আপনাকে কোম্পানিতে ভাইভা দেয়ার জন্য সাজেস্ট করবো।
১৬. জাপানে একজন চাকুরিজীবীর প্রতিমাসে সকল খরচ বাবদ কত টাকা খরচ হতে পারে? আর প্রাথমিক অবস্থায় কত টাকা প্রতিমাসে দেশে পাঠানো সম্ভব?
ইনকাম ট্যাক্স, সোশ্যাল ইন্সুরেঞ্জ, জীবন বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, এলাকা ভিত্তিক ট্যাক্স, যাতায়াত খরচ, শেয়ারিং রুম ভাড়া, ইউটিলিটি বিল ও খাওয়া খরচ সহ সর্বমোট প্রায় ৬০-৭০ হাজার বাংলা টাকার মত খরচ হয়ে থাকে। বাকি ১ লাখ ২০/৩০ হাজার টাকা বৈধভাবে টাকা রেমিট্যান্স পাঠানো যায়।
১৭. এই ভিসা ক্যাটেগরিতে যাওয়ার জন্য কত মাসের কোর্স করতে হবে?
মাত্র ৪ মাসের অফলাইন বা অনলাইন কোর্স শেষ করেই বা কোর্স চলাকালীন আবেদন করতে পারবেন।
১৮. অনেকেই বলে থাকেন আপনাদের ভিসার রেট হাই, অন্যান্য এজেন্সিরা অনেক কম নিয়ে থাকে!
জিনিস যেটা ভালো, দাম তার একটু বেশি’, ঢেউটিন নিয়ে দেশের জনপ্রিয় একটি বিজ্ঞাপনের অংশ এটি।
হ্যাঁ আপনি কম টাকায় যেতে পারবেন কারো না কারো মাধ্যমে। কিন্তু আপনার লাইফ রিস্কে পরার সম্ভাবনাই বেশি। দেশের বেশিরভাগ এজেন্সি ভিসা করে দিবে কিন্তু জাপানে গিয়ে কাজের নিশ্চয়তা দিবেনা। জাপান গিয়ে যখন দেখবেন ভিসা আছে কিন্তু কোম্পানি নাই তখন আর কাউকেই দায় দিতে পারবেন না। আবার ১ বছর পর যখন ভিসা রিনিউয়্যাল করতে যাবেন তখন বুঝবেন বিড়ম্বনা কাকে বলে ও কত প্রকার। আবার যদি সেই সকল জাপানের এজেন্ট ভিসা রিনিউ করতে অন্য কোম্পানি থেকে ভিসা সাপোর্ট দেয়ার নাম করে অতিরিক্ত মোটা অংকের টাকা দাবি করে তাহলে তখন সেই মুহূর্তে ভেবে নিবেন প্রথমেই দক্ষ এজেন্সি নির্বাচন করতেই ভুল করেছেন যার কারণে সস্তার বারো অবস্থা।
এ সম্পর্কে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে আপনাদেরকে তাহলে বিশ্বাস করবোই বা কিভাবে। আপনার যদি এই বিষয়গুলোতে তদারকি করতে প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের অফিসে আসুন আমরা যাদের এই ক্যাটেগরিতে পাঠিয়েছি তাদের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ করে দিবো। তারা আমাদের থেকে কেমন সাপোর্ট পেয়েছে বা পাচ্ছে।
আর এ বিষয়ে আমাদের কোম্পানি খুবই দক্ষতার সহিত সরাসরি জাপানিজ কোম্পানির সাথে কাজ করে থাকে বিধায় উপরোক্ত ঝামেলা গুলো আমাদের এপ্লিকেন্টকে পোহাতে হয়না।
জাপানের বেশিরভাগ কোম্পানি জাপান সরকার কর্তৃক স্বীকৃত জব এজেন্টের মাধ্যমে কাজের ডিম্যান্ড পেয়ে থাকি, জব এজেন্টগুলোর পেমেন্ট ডিম্যান্ড হাই থাকে ফলে তখন আমাদের খরচের পরিমাণও বেড়ে যায়, বিধায় ভিসার রেট হাই হয়ে যায়।
এমনকি আমাদের দেশের এপ্লিকেন্টদের ভাষার সার্টিফিকেট ও কথা বলার দক্ষতা কম থাকার কারনেও মধ্যস্ততাকারীরাই অতিরিক্ত মুনাফা নিয়ে থাকে।
আমরাও চাই এই ক্যাটেগরিতে প্রতি বছর ২ হাজার লোক কম টাকায় জাপান পাঠাতে চাই কিন্তু সেই সুযোগ আমরা পাইনা। কম খরচে বেশি লোকজন গেলে প্রফিট মার্জিন আমাদের অনুকুলে চলে আসে এবং দেশের বৈদেশিক রেমিট্যান্সও বেশি অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও ভুমিকা রাখতে সক্ষম হই।
অন্যদিকে নেপাল, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা ও মায়ানমারের এপ্লিকেন্টদের ভাষার সার্টিফিকেট ও কথা বলার দক্ষতা আমাদের থেকে অনেক ভালো বিধায় জাপানিজ কোম্পানিগুলো তাদেরকে আগে পছন্দ করে এবং তাদের দেশ থেকে শতভাগ ভিসা রেশিও থাকে বিধায় জব এজেন্ট বা কোম্পানিগুলো তাদের দিকে ধাবিত। এক প্রকার আমরা জোরপূর্বক টাকা বাড়িয়ে দিয়ে জব ডিম্যান্ড গুলো নিয়ে থাকি বিধায় খরচ আমাদের বেশি হয়ে যায়।
১৯. আপনাদের কোম্পানি কতদিন থেকে জাপান নিয়ে কাজ করতেছে?
উত্তরঃ আমাদের কোম্পানি দীর্ঘ ১০ বৎসর থেকে শুধুমাত্র জাপান নিয়ে কাজ করছে এবং সারা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ জব ভিসায় সফলতা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান।
২০. দক্ষ, সঠিক ও বিশ্বততা সম্পন্ন এজেন্সি কিভাবে খুজে পাবো?
শুনুন, বাংলাদেশে ভুঁইফোড় এজেন্সির অভাব নাই। এমনও আছে সেই এজেন্সির মালিক জীবনেও জাপানে যায় নাই, জাপানের ইমিগ্রেশন পলিসি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র যার অভিজ্ঞতা নাই সেও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে জাপানে লোক পাঠাবে বলে অফিস খুলে বসে আছে। জাপানে একজন কর্মী সমস্যায় পরলে তৎক্ষণাৎ নিজে কোন সাহায্য করতে পারবেনা। তাই আমরা মনে করি আপনি আগে আমাদের সম্পর্কে ভালভাবে জানুন এবং সরাসরি অফিসে এসে আমাদের সাথে কথা বলুন, আমাদের মাধ্যমে যে যেতে হবে বিষয়টা এমন না আপনি আমাদের সাথে কথা বললে অন্তত জাপানের বাস্তব জীবনের প্রকৃত বিষয়গুলো জানতে পারবেন, তারপর তখন আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে, আমাদের মাধ্যমে যাবেন নাকি যাবেন না। রিজিক আল্লাহ্ তা-আলার পক্ষ থেকে আসে, আমরা আপনাকে সঠিক তথ্যটাই বলব আর সঠিক তথ্য দিয়ে যদি আপনার কোন বিন্দুমাত্র উপকার করতে পারি এটাই আমাদের সার্থকতা ও শ্রেষ্ঠ পাওয়া।
২১. আপনাদের জাপানিজ ক্লাসের শিডিউল ও খরচ জানতে পারি কি?
প্রতি মাসের ১ ও ১৬ তারিখ আমাদের নতুন ব্যাচ শুরু হয়ে থাকে।
সপ্তাহে ৩ দিন ক্লাস ৩ ঘণ্টা করে। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৭ টা পর্যন্ত অফলাইন ক্লাস হয়। রাত ৮ টায় শুধু অনলাইন ক্লাস হয়ে থাকে। চাকুরীজীবীরা শুক্র ও শনিবার অফলাইন ক্লাস করার সুযোগ রয়েছে।
অফলাইন কোর্স ফিঃ ১৮,৫০০ টাকা, অনলাইন কোর্স ফিঃ ১৫,৫০০ টাকা।
যা একবারেই পরিশোধ করতে হবে। কোন ধাপে ধাপে দেয়ার নিয়ম নাই।
২২. জাপানে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কি এই ভিসা ক্যাটেগরি থেকে পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ যদি আপনি সঠিকভাবে ইনকাম ট্যাক্স, স্বাস্থ্য বীমা, পেনশন বীমা, এরিয়া ট্যাক্স প্রদান করেন, মারাত্মক কোন এক্সিডেন্টাল কেস না থাকে, মেয়ে সংঘটিত মামলা বা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না থাকেন তাহলে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট এর জন্য ৩ বছর কর্মজীবন পরেই আবেদন করতে পারেন।
২৩. আপনারা কি অরিজিনাল ডকুমেন্ট জমা দেওয়া ছাড়া কাজ করে থাকেন?
জি আমরা অরিজিনাল বা মূল ডকুমেন্ট জমা নেয়া ছাড়া কাজ করিনা। অনেকেই বলতে পারেন স্ক্যান ফাইল দিয়ে কাজ করা যায়। হ্যাঁ আমরাও একমত কাজ করা যায়। কিন্তু অনেক সময় অনেকেই জাল ডকুমেন্ট দিয়ে কাজ করতে চায়, সেটা স্ক্যান ফাইলে বুঝার কোন উপায় থাকেনা এমনকি জাপানের কোম্পানিগুলো সরাসরি অফিসে গমন করলে অরিজিনাল ডকুমেন্ট দেখতে চায় বিধায় সকল মূল ডকুমেন্ট জমা নেয়া হয়।
২৪. আপনারা কি এই ভিসা গ্যারান্টি সহকারে দিয়ে থাকেন?
না আমরা কোন ক্যাটেগরির জন্য গ্যারান্টি দেইনা। ভিসা দেয়া না দেয়া সম্পূর্ণ জাপান এমব্যাসির। তবে আমরা এভারেজ ভিসা রেশিও সম্পর্কে অবগত করতে পারবো।
২৫. অনেকেই জিজ্ঞেস করেন এই ভিসা ক্যাটেগরিতে যাওয়ার পর অন্য কোন সেক্টরে জব পরিবর্তন করা যাবে কি?
জি যাবে তবে সেটা ৩ বছর পরে পারবেন। আপনি ১৬ টা সেক্টরের মধ্যে পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো সেক্টরে জব বা কোম্পানি পরিবর্তন করতে পারবেন সেজন্য উক্ত সেক্টরের স্কিল টেস্ট নৈব্যত্তিক পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। আপনি পছন্দের সেক্টরে কাজ খুঁজে নিয়ে কোম্পানি পরিবর্তন ও ভিসা রিনিউ করতে পারবেন। অনেকসময় দেখা যায়, রিলেটেড ফিল্ডের কোম্পানি পাওয়া সময়ের ব্যাপার হয়ে দাড়ায় এমনকি আপনার রিলেটেড ফিল্ডের চেয়ে অন্যান্য ফিল্ডে স্যালারি ও সুযোগ সুবিধা বেশি থাকে তখন আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে আপনি কোন ফিল্ডে কাজ করবেন।
২৬. জাপানের কোম্পানিগুলো কি থাকা খাওয়ার খরচ দিয়ে থাকে?
জাপানের কোন কোম্পানি খাওয়ার খরচ দেয় না, কিন্তু বাসস্থানের ব্যবস্থা দিয়ে থাকে। সেটা জাপানে গমন করার আগে থেকে রেডি করে রাখতে পারে আবার ৩ মাস পরেও পেতে পারেন। নির্ভর করে কোম্পানি টু কোম্পানি। অনেক সময় কোম্পানি মোট ভাড়ার ৬০% বহন করে। তবে ৯০ ভাগ কোম্পানি ডরমিটরি সুবিধা দিয়ে থাকেন।
অনেকেই এই ভিসা ক্যাটেগরিকে প্রফেশনাল জব ভিসা বা পার্মানেন্ট জব ভিসা বলে থাকে। এই ভিসা ক্যাটেগরিতে যাওয়ার জন্য আরও অনেক খুঁটিনাটি রয়েছে যা আবেদন করার পূর্বে সকলের জানা প্রয়োজন, আপনি ইচ্ছুক থাকলে আপনার সিভি-টি আমাদের ইমেইল করে রাখতে পারেনঃ 𝙖𝙥𝙥𝙡𝙮𝙛𝙤𝙧𝙟𝙖𝙥𝙖𝙣@𝙜𝙢𝙖𝙞𝙡.𝙘𝙤𝙢
অথবা আরও বিস্তারিত জানতে ফর্মটি পূরণ করতে পারেন এই লিঙ্কেঃ https://forms.gle/heoAgWgocYH8AMY36
কেউ লিখাটুকু শেয়ার/কপি করতে চাইলে কারটেসি দিতে ভুইলেন না।
সামান্য কিছু বিষয় তুলে ধরলাম অফিসে আসলে বিশদভাবে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আপনার ক্যারিয়ারের সঠিক কাউন্সিলিং ও ফ্রিতে পরামর্শ নিতে আজই চলে আসুন আমাদের অফিসে।
Reiwa IT and Consultancy, ঠিকানাঃ প্লট:১১ (৫ম তলা), মেইন রোড:০৩, সেকশন: ০৭, পল্লবী, ঢাকা-১২১৬.(মিরপুর ১১ নং মেট্রোরেল স্টেশনের ২১০ নং পিলারের পশ্চিম পার্শ্বে IFIC ব্যাংকের ৫ম তলায়)। কল করুণ- +8801865141366, +8801939389616, +8809613821199
গুগল ম্যাপঃ https://goo.gl/maps/w8YzjZGKvp8Sgxrn6 , সপ্তাহে ৭ দিনই সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকে।
আমাদের ফেসবুক পেজে ফলো করে রাখতে পারেনঃ https://www.facebook.com/reiwaitandconsultancy
আমাদের ইউটিউব ভিডিও গুলো পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন চ্যানেলটিঃ https://www.youtube.com/@REIWA_JAPAN_2016/videos
আমাদের ফেসবুক কমিনিউটিতে যোগ হতে ক্লিক করুনঃ https://www.facebook.com/groups/reiwaitandconsultancy
আমাদের ওয়েবসাইটঃ https://www.reiwabd.com
Design By Osama Misu